সরকার চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি বিষয়ে নুতন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৫ বছর মেয়াদী উন্নয়ন কর্মসূচী “স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচী ২০১১-১৬”-এর আওতায় “হেলথ ইনফরমেশন সিসটেম এ্যান্ড ই-হেলথ” অপারেশনাল প্লানের একটি কর্মসূচী “চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি”। এই প্রযুক্তি জীব প্রযুক্তির একটি অন্যতম শাখা। জীব প্রযুক্তি বর্তমান সময়ের আধূনিকতম বিজ্ঞান ও সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যা কর্মসংস্থান ও দারিদ্র দূরীকরণে প্রভূত ভূমিকা রাখতে পারে। চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি জনগণের সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টির অব্যাহত টেকসই উন্নয়নে নুতন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। জীব প্রযুক্তির সম্ভাবনা যেমন আছে – সঠিক ব্যবহারের অভাবে তেমনি স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবেশের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের আশংকাও রয়েছে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে চিকিৎসা, কৃষি ও গবাদিপশুজাত অনেক জীব প্রযুক্তি পণ্যের ব্যবহার শুরু হয়েছে। অধিকাংশই উপকারী। আর কিছু কিছু অপকারীও হতে পারে। কাজেই জেনে শুনে ব্যবহার করা বাঞ্চনীয়। সব কিছু বিবেচনায় আমাদের কাউকে চিকিৎসা ও অন্যান্য জীব প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যাতে সুফলটুকু ঘরে তোলা যায়। কাউকে নিজে জেনে অন্যদের সচেতন করতে হবে। আর সবাইকে নিদেন পক্ষে জানতে হবে কি কি জীব প্রযুক্তিজাত পণ্যের সংস্পর্শে আসছি এবং সেগুলো ব্যবহারের ভালোমন্দ দিক কি। এ সবই চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি কর্মসূচীর অংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য একটি জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করেছে যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
চিকিৎসা জীব প্রযুক্তি কর্মসূচীর ৫ বছর মেয়াদী পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ
স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী নির্দেশনাগুলো হলোঃ
দীর্ঘ মেয়াদী (২৫ বছরে অর্জনযোগ্য) নির্দেশনাগুলো হলোঃ