অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর
মহাপরিচালক
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর একজন স্বনামধন্য পেডিয়াট্রিক সার্জন এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রশাসক। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী জটিল ও ভঙ্গুর পরিস্থিতিতে তিনি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৬ই অক্টোবর ২০২৪ থেকে তিনি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ডা. মো. আবু জাফর ৩১ই ডিসেম্বর, ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশের বগুড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিক্ষা জীবনে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। এছাড়া এমসিপিএস (সার্জারি), এফসিপিএস (সার্জারি) এবং বাংলাদেশ শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে পেডিয়াট্রিক সার্জারিতে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
ডা. মো. আবু জাফর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ১৩তম ব্যাচের একজন সদস্য। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৯৪ সালে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার হিসেবে। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহকারী রেজিস্ট্রার, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এবং অধ্যাপক হিসেবে পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ছাত্রদের নিকট তিনি একজন জনপ্রিয় শিক্ষক হিসেবে সুপরিচিত।
গবেষণার ক্ষেত্রে ডা. মো. আবু জাফর পেডিয়াট্রিক সার্জারির বিভিন্ন জটিল রোগ, যেমন: অন্ত্রের অ্যাট্রেসিয়া, পাইলোরিক স্টেনোসিস এবং কোলেডোকাল সিস্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে অসংখ্য গবেষণাপত্র লিখেছেন, যা বাংলাদেশে পেডিয়াট্রিক সার্জারির রোগীর চিকিৎসায় মাইলফলক হয়ে আছে।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ডা. নুরুন নাহার বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ, যিনি পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ক্লিনিক্যাল গর্ভনিরোধ সেবা বিতরণ কর্মসূচিতে লাইন ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।
তার সমগ্র কর্মজীবনে ডা. মো. আবু জাফর চিকিৎসক হিসেবে এবং চিকিৎসা প্রশাসন উভয় ক্ষেত্রেই দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ পদস্থ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে তার বর্তমান ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসিত।