জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম বা জিআইএস পদ্ধতি প্রয়োগে দেশের কোথায় কি স্বাস্থ্য সেবা আছে, কোথায় নেই, কোথায় প্রয়োজন, এসব তথ্য বিশ্লেষন করে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যবস্থা ধীরে ধীরে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এজন্য দেশের প্রতিটি সিভিল সার্জনের অফিসে গ্লোবাল পজিশনিং সিসটেম বা জিপিএস নামক যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।ইন্টারনেট সার্চ ইঞ্জিনখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গুগল-এর সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান গুগল ম্যাপে সন্নিবেশ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর জিআইএস ডাটা সংগ্রহ করার কাজ প্রায় শেষ। গ্রামীণ স্বাস্থ্য কর্মীদের দেয়া টেবলেট কমপিউটারগুলো ব্যবহার করে জিআইএস সেবার আওতা আরও বাড়ানো হবে।
জিআইএস পদ্ধতির মাধ্যমে রোগের প্রাদুর্ভাব ও ধরণ সম্পর্কেও সহজেই ধারণা লাভ করা যাবে। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণেও সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও ব্যবস্থাপনায়ও জিআইএস পদ্ধতি প্রভূত সহায়তা করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ নিজেদের উদ্যোগ ও চিন্তাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে জিআইএস পদ্ধতির প্রয়োগে নানা রকম নাগরিক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রবর্তন করতে পারবেন।