দেশের সকল নাগরিকের তথ্য সম্বলিত একটি স্থায়ী ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্ট্রি তৈরির কাজ এখন দ্রুত এগিয়ে চলেছে।এজন্য বাংলাদেশের সকল গ্রামে পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য শুমারীর মাধ্যমে সকল পরিবারের সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শেষ করা হয়েছে।
এখন চলছে ডাটা এন্ট্রির কাজ। এজন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ইনটেলিজেন্ট ক্যারেক্টার রিকগনিশন বা আইসিআর নামে একটি মেশিন। এই মেশিনটি হাতের লেখাও পড়তে পারে। ডাটা এন্ট্রির পর তৈরি করা হবে একটি কম্পিউটার তথ্য ভান্ডার। এই তথ্য ভান্ডারে প্রতিটি নাগরিকের পরিচিতি নম্বর থাকবে এবং প্রত্যেকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও থাকবে। প্রতি মাসে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে বা কমিউনিটি ক্লিনিকে বসে সংশ্লিষ্ট স্টাফরা তথ্য হালনাগাদ করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এই তথ্য ভান্ডার তৈরি হলে দেশের জনগণের হালনাগাদ জনমিতি, জন্ম-মৃত্যুর হার ও রোগ-ব্যাধিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য তথ্য যে কোন সময় কম্পিউটারের বোতাম টিপেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। যে কোন সার্ভে বা হাসপাতালে রোগী চিকিৎসার সময় রোগীর নাম-ঠিকানা লিখতে হবে না। পরিচিতি নম্বর থেকেই সব তথ্য বের করা যাবে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক নাগরিক পাবে একটি লাইফ টাইম হেলথ রেকর্ড।
বাংলাদেশ ৮ কোটি ভোটারের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেক্ট্রনিক ভোটার তালিকা করে যেমন গর্বের অধিকারী, ১৫ কোটি মানুষের ইলেক্ট্রনিক হেলথ রেজিস্ট্রি হলে হবে তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী গর্বের অধিকারী। এই ইলেক্ট্রনিক তথ্য ভান্ডার স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সকলেই জানেন যে, সরকার বর্তমানে জাতীয় পপুলেশন রেজিস্টার তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য জনমিতি সেই রেজিস্টারের সাথে সংযুক্ত থাকবে এবং একে অপরের পরিপুরক হিসেবে কাজ করবে।