তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা শত শত স্বাস্থ্য বিভাগীয় অফিস ও হাসপাতালগুলোতে নির্দেশনা প্রদান এবং সেগুলোর কাজ ও সেবার পরিমান তথা মান সম্পর্কে
তথ্য আদান-প্রদান করা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল।সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসকল প্রতিষ্ঠানকে তথ্য প্রযুক্তির নেটওয়ার্কে আনার পরিকল্পনা করে এবং দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র চার মাসের মধ্যেই (এপ্রিল ২০০৯) সর্বনিম্ন উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত দেশের প্রায় ৮০০টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কম্প্যুটার এবং ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। দেশে এমন কোন সরকারী হাসপাতাল নেই যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। অক্টোবর ২০১৩-র মধ্যে দেশের সকল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কাজ সম্পন্ন হবে। এছাড়া গ্রামীন পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতেও দেয়া হচ্ছে টেবলেট কমপিউটার। ইতিমধ্যে ৩,৫০০ কর্মীর হাতে তা চলে গেছে। অক্টোবর ২০১৩-র মধ্যে আরও ৯,০০০ কর্মী এবং পরবর্তি বছরের মধ্যে বাকী ১০,০০০ স্বাস্থ্য কর্মী টেবলেট পেয়ে যাবে।
প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান ও মনিটরিং ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় স্বাস্থ্য সেবার মানের গুনগত উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনলাইন ডাটাবেইসসহ ইমেইলের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে তথ্য পাওয়ায় দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।
সাধারণভাবে প্রতিটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান দৈনিক অন্ততঃ চার বার ইমেইল চেক করে থাকে।বহু অনলাইন ডাটাবেইজ তৈরি হয়েছে। রুটিন ও তাৎক্ষণিক তথ্য সংগ্রহের বেশীর ভাগই এখন অনলাইন ডাটাবেইজের মাধ্যমেই সম্পাদিত হচ্ছে। এসব ব্যবস্থার ফলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় গতির সঞ্চার হয়েছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকগণসহ জনগণ এর সুফল পাচ্ছেন।