স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের উদ্যোগে সারাদেশে ২৩৩ টি টেলিমেডিসিন সেবা কেন্দ্র চলমান রয়েছে। তন্মধ্যে সেবা প্রদানকারী ৩৯ টি এবং সেবা গ্রহণকারী ১৯৪ টি। সর্বমোট ২৩৩ টি সেবা কেন্দ্রের মধ্যে ১৪ টি বিশেষায়িত হাসপাতাল, ১৩টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল , ১২টি জেলা হাসপাতাল এবং ১৯৪ টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স রয়েছে। টেলিমেডিসিন কেন্দ্রসমূহের সমন্বয়ের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগে ১টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রয়েছে।
এই সেবার মাধ্যমে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত এবং রেফারেল রোগীরা অন্য কোন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে পারেন, যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
টেলিমেডিসিন কেন্দ্রগুলো টেলিগ্যাজেটস যেমন টেলি-স্টেথোস্কোপ, টেলি-ইসিজি, টেলি-অণুবীক্ষণ যন্ত্র, টেলি-গ্লুকোমিটার ইত্যাদির সাথে উন্নত মানের ক্যামেরা, বড় স্ক্রীন মনিটর এবং কম্পিউটার দিয়ে সজ্জিত। প্রতিটি পৃথক পরামর্শ DHIS2 এ রেকর্ড করা হয় এবং সিস্টেম থেকে রোগের প্রোফাইল পাওয়া যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চর্ম বিশেষজ্ঞের অভাবের কারণে বেশিরভাগই বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা টেলিমেডিসিন সেবার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন।
টেলিমেডিসিনের অগ্রযাত্রা:
টেলিমেডিসিন সেবা ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস শাখার সমন্বয়ের মাধ্যমে ৮টি কেন্দ্র (২টি বিশেষায়িত হাসপাতাল,৩ জেলা হাসপাতাল এবং ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) চালু করা হয়েছিল যা বিজয় সরণি নভো থিয়েটারে অনুষ্ঠিত জাতীয় ডিজিটাল উদ্ভাবন মেলায় ৬ জুলাই, ২০১১ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। এরপর প্রতি বছর কমবেশি ১০টি কেন্দ্র যুক্ত করা হয়েছে; ২০১৯ সাল পর্যন্ত এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে টেলিমেডিসিন মনিটরিং ইউনিটসহ সর্বমোট ৯৪টি টেলিমেডিসিন কেন্দ্র চালু ছিলো। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে আরও ১৪০টি নতুন টেলিমেডিসিন সেন্টার উদ্বোধন করা হয়।
২০১৯ থেকে ২০২৩ সালে রোগীদের টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে পরামর্শ গ্রহণের সংখ্যা:
Year |
Number of patient consultations |
2019 |
41370 |
2020 |
35133 |
2021 |
47144 |
2022 |
29246 |
2023 |
42836 |
উৎস: DHIS2
এক নজরে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানকারী-গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান সমূহের তালিকা